সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর আমাদের জাতীয়তা বাঙালি নাকি বাংলাদেশী? দৈনিক আমার দেশ বলছে-“বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই মূল জাতীয় পরিচয়”। বিডিনিউজও বলছে– “বাঙালি নয়, জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশী”। কালের কণ্ঠ বলছে, “বাংলাদেশী জাতীয়তা বহাল”! অধিকাংশ ব্লগেও একই কথাই লেখা।
কিন্তু নিজে যখন আপিল বিভাগের মূল রায়টা পড়ে শেষ করলাম, তখন কিন্তু ভিন্ন তথ্য পেলাম! কিছুটা ডেইলি স্টার এর সাথে মিলে, যারা বলছে- “জাতিয় সংসদই নির্ধারণ করবে জাতীয়তা, তবে বাংলাদেশী পরিচয়টা থাকবে”।
তবে মূল রায়ে আমি যেটা পড়লাম, তার অর্থ দাঁড়ায়- আমার নাগরিকত্ব বাংলাদেশী, আর জাতীয়তা বাঙালি!
এই লেখাটিতে মূলতঃ নাগরিকত্ব আর জাতীয়তা সংক্রান্ত সংবিধানের ধারা আর কোর্টের রায়গুলোতে কী পেলাম তাই তুলে ধরছি চারটি পরিচ্ছেদে- বাহাত্তেরর সংবিধান; সাতাত্তরের অধ্যাদেশ; হাইকোর্ট বিভাগের রায়; এবং আপিল বিভাগের রায়। আমি আপিল বিভাগের রায়টিকে কিভাবে দেখি তা তুলে ধরার জন্য আমার অবস্থানটিও প্রকাশ করেছি এখানে।
১. বাহাত্তরের সংবিধান
বাহাত্তরের সংবিধানে দুইটি ধারায় “বাঙালি” শব্দটির ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল- একটিতেনাগরিকত্ব আর অন্যটিতে জাতীয়তা বোঝাতে। ধারা ৬-এ নাগরিকত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছেএভাবে- “৬. বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হইবে।বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাঙালি বলিয়া পরিচিত হইবেন”।
আর ধারা ৯-এ জাতীয়তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল (বাংলা অনুবাদটি হাতের কাছে নেই, তাই এটিই তুলে দিচ্ছি)-
“The unity and solidarity of the Bangalee nation, which, deriving its identity from its language and culture, attained sovereign and independent Bangladesh through a united and determined struggle in the war of independence, shall be the basis of Banglaee nationalism.”
এই ধারাগুলোর দুটি অসামঞ্জস্য রয়েছে-
এক- বাংলাদেশ কোন একক-জাতির রাষ্ট্র নয়, বরং বিভিন্ন জাতির সমন্বয়ে গঠিত। তাই, একে যদি শুধু বাঙালির জাতি-রাষ্ট্র (nation state) বিবেচনা করা হয়, তাহলে অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠিকে অবহেলা করা হয়। মারমা, চাকমা, গারো, সাঁওতাল ইত্যাদি আসলে পৃথক জাতিসত্ত্বা। ক্ষুদ্র, কিন্তু কোন ভাবেই বাঙালি জাতির বা হয়তো অন্য কোন জাতিরও উপজাতি নয় (আসলে প্রায় সব জাতিই নিজেদেরকে স্বতন্ত্র আর অন্যদের কোন না কোন জাতের অংশ মনে করে। এই যেমন, আমরা যতই নিজেদের আলাদা ভাবি না কেন, পশ্চিমারা আমাদের ভারতীয় জাতির অংশ ভাবে, আর আমরা মঙ্গোলীয় চেহারা দেখা মাত্রই সবাইকে চৈনিক ভাবি)।
দুই- নাগরিকত্ব যেহেতু আইনের দ্বারা নির্ধারিত, তাই যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সমস্যা নেই। শুনেছি (প্রমাণ হাতে নেই), বঙ্গবন্ধুর কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী সংবিধানে তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে গেলে তিনি বলেছিলেন- “তোরা বাঙালি হয়ে যা”। এ কথাটি নাগরিকত্বের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, কিন্তু জাতীয়তার জন্য নয়। তবে দেশের সকল নাগরিকের নাগরিকত্বের নামটি যদি বাঙালিদের জাতির উপর ভিত্তি করেই স্থাপন করা হয়, তাহলে তা উপরোক্ত কারনেই সংখ্যালঘু জাতির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করে।
২. সাতাত্তরের অধ্যাদেশ
সামরিক শাসনামলে ১৯৭৭ সনের ১ম অধ্যাদেশ (এবং পরবর্তীতে, ১৯৭৮-এর ৪র্থ অধ্যাদেশ) এর মাধ্যমে সংবিধানের উল্লিখিত দুটি ধারাই পরিবর্তন করা হয়। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ৬ নং ধারা পরিবর্তন করে বলা হয়–
“(১)বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হইবে। (২)বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।”
কিন্তু কৌতূহলের বিষয় হচ্ছে, জাতীয়তা সংক্রান্ত ৯ নং ধারাটি পরিবর্তনের সময় জিয়াউর রহমান কিন্তু সংবিধানে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেননি। তখন বাঙালি জাতীয়তা সংক্রান্ত ৯ নং ধারাটি বদলে নিচের ধারাটি প্রতিস্থাপন করা হয়–
“রাষ্ট্র সংশিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিগণ সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহ দান করিবেন এবং এই সকল প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষক, শ্রমিক এবং মহিলাদিগকে যথাসম্ভব বিশেষ প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হইবে”।
লক্ষ্য করে দেখুন, ধারাটি থেকে বাঙালি জাতীয়তা সরানো হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশী জাতীয়তা প্রতিস্থাপন করা হয়নি (যেমনটি ৬নং ধারায় নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে করা হয়েছে)। জাতীয়তা সংক্রান্ত কোন কিছুই আসলে বলা হয়নি। যারা বলেন, সাতাত্তরের সংবিধান অনুসারে “বাংলাদেশী জাতীয়তা” প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা সংবিধানটি একবার পড়ে দেখতে পারেন।
তবে একথা অনস্বীকার্য যে, জিয়াউর রহমানই “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” ধারণাটির জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেটি রাজনীতি আর রাষ্ট্রকর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, সংবিধানের মাধ্যমে নয়। অনেকে বলেন বাঙালি-অবাঙালি বিভেদ ঘুচাতেই নাকি এই উদ্যোগ। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ব্যাখ্যা করেছিলেন এভাবে-
আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মোটামুটি সাতটি মৌলিক বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। তা হচ্ছে বাংলাদেশের ভূমি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যবর্তী আমাদের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক এলাকা, ধর্ম ও গোত্র নির্বিশেষে দেশের জনগণ, আমাদের ভাষা, বাংলা ভাষা, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা-উদ্দীপনা ও আন্তরিকতার ধারক এবং বাহক আমাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, দু’শত বছরের ঔপনিবেশ থাকার প্রেক্ষাপটে বিশেষ অর্থনৈতিক বিবেচনার বৈপ্লবিক দিক, প্রত্যেকটি নারী ও পুরুষের অবাধে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন ও রীতিনীতি পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন বাস্তব ও চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে [সূত্র]।
তার এই নতুন জাতীয়তাবাদেরও দুটো সমস্যা আছে-
এক. এই জাতীয়তাবাদ বাঙালি জাতীয়তাবাদেরই নতুন নামকরণ হতে পারে, কিন্তু নতুন কোন সামষ্টিক ধারণা অবশ্যই নয় (বিবেচ্য বিষয়গুলো খেয়াল করে দেখুন… “আমাদের ভাষা, বাংলা ভাষা,”… এখানে কিন্তু অন্যান্য ভাষা-ভাষীর কথা বলা হয়নি)।
দুই. নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে যে জাতীয়তা, তা এক পুরুষে বদল হয় না। একাত্তরের আগে আমরা কি তাহলে জাতিতে পাকিস্তানি ছিলাম? অবশ্যই না। “পাকিস্তানী জাতিই”-তো একটা নির্মাণ প্রচেষ্টা, যাদের সাথে আমাদের কোন মিলই নেই। ইতিহাসে রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বা নির্মিত বেশ কিছু জাতির সন্ধান পাওয়া যায়, যাদের ভাষা-স্বকীয়তা ধীরে ধীরে বদলে দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তান আমাদের উপর চেষ্টা করেছিল, সফল হয়নি। এভাবে হঠাৎ করে বললেই একটি জাতি তৈরি হয়না।
কাজেই, বাহাত্তরের সংবিধানের ৬নং ধারা অনুসারে সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালির জাতীয়তা সংখ্যালঘু চাকমা জাতির নাগরিকত্বের ভিত্তি হওয়া উচিত নয় (যদিও নাগরিকত্ব যেহেতু আইনি বিষয়, রাষ্ট্র চাইলে তা করতে পারে)। আবার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব থাকতেই পারে, কিন্তু “বাংলাদেশী জাতীয়তা” নামে কোন নির্মিত বা কাল্পনিক জাতীয়তা বাঙালি, চাকমা, সাঁওতালসহ সকল জাতির উপর চাপিয়ে দেয়াও সম্ভব নয়।
৩. হাইকোর্ট বিভাগের রায়
২৯মে আগস্ট ২০০৫-এ হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে যে রায় দিয়েছিল, তাতে ১৯৭৭ সনে সংবিধানের ৬ ও ৯ নং ধারা বদলের দুটো সিদ্ধান্তই বাতিল করা হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের ৩৮১ পৃষ্ঠায় এ সর্ম্পকে বলা আছে-
“Under the circumstances, we deny condonation of both Bengali and English texts of the following provisions made in the Constitution by the various Proclamations : 1) The Amemdments made in the Preamble of the Constitution; 2) Article 6; 3) Article 8; 4) Article 9; 5) Article 10…”
হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে বাহাত্তরের সংবিধানে প্রণীত বাঙালি নাগরিকত্ব (ধারা ৬) এবং বাঙালি জাতীয়তা (ধারা ৯) পুনঃস্থাপিত হয়।
৪. আপিল বিভাগের রায়
আপিল বিভাগ জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব সম্পর্কিত সংবিধানের ধারা ৬ এবং ধারা ৯ সংক্রান্ত রায়ে বলেছেন-
১. “Preamble and the relevant provisions of the Constitution in respect of secularism, nationalism and socialism, as existed on August 15, 1975, will revive.”
২. “However in respect of nationalism, as to be discussed later on, we are inclined to condone the substituted provision of Article 6.”
৩. “Regarding nationalism though we expressed the view that being political issue, Parliament is to take decision in this regard,”
৪. “but if in place of “Bangladeshi” the word ‘Bangalee’ is substituted in terms of the judgment and order of the High Court Division, then all passports, identity cards, … … will have to be changed, reprinted or reissued. Moreover the Bangladeshi nationals who will return to Bangladesh as well as those travelling abroad will also face serious complications with the immigration authorities abroad…”
৫. So for wider public interest the substituted Article 6 is to be retained.
এখানে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়-
১. হাইকোর্ট বাঙালি জাতীয়তা সংক্রান্ত ৯ নং ধারা পুন:স্থাপন করে যে রায় দিয়েছিল, আপিল বিভাগ তার উল্লেখ করলেও, হাইকোর্টের রায়টি বাতিল করেনি। অর্থাৎ, বাঙালি জাতিয়তা সংক্রান্ত বাহাত্তরের সংবিধানের ৯নং ধারা ফিরে আসছে বা বহাল থাকছে।
২. “জাতীয়তা সংক্রান্ত” বিষয়ে আপিল বিভাগ শুধু “বাংলাদেশী নাগরিকত্ব” সংক্রান্ত ১৯৭৭-এর অধ্যাদেশের সিদ্ধান্ত (৬নং ধারা) বহাল রেখেছেন। এর কারণ হিসেবে রায়ে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত পরিচয়পত্রজনিত জটিলতা এড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
৩. রায়ের মাধ্যমে সংবিধানে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব (১৯৭৭-এর ধারা ৬) এবং বাঙালি জাতীয়তা (১৯৭২-এর ধারা ৯)-র বিষয়টিই নিশ্চিত করা হয়েছে। নাগরিকত্বের পরিচয় ‘বাঙালি’ যেমন ফিরে আসছে না, অন্যদিকে সকল জাতির স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে নির্মিত ‘বাংলাদেশী জাতীয়তা’-কেও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
শেষ কথা:
জাতীয়তা নিয়ে সচলায়তনে এর আগে অনেক গভীর আলোচনা হয়েছে (যেমন ১, ২,৩)।
নৃতাত্ত্বিক পরিচয় (ethnic identity) আর নাগরিকত্বের ধারণাটি সবসময়ই পৃথক ছিল। জাতীয়তার ধারণাটিকেও সবসময় নৃতাত্ত্বিক পরিচয় হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে, নাগরিকত্ব হিসেবে নয়। কিন্তু জটিলতা শুরু হলো যখন একই জাতির লোকেরা জাত-নির্ভর রাষ্ট্র গঠন (nation-state) শুরু করলো; অথবা গঠিত রাষ্ট্রে বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। ‘একতাই বল’-এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ধরনের “একতা এক্সপ্রেস” চালিয়েছে–
১. অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ট অথবা ক্ষমতাশালী জাতি সংখ্যালঘু জাতিকে দমন অথবা নিশ্চিহ্ন করে রাষ্ট্রিয় একতা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।
২. কখনো আবার রাষ্ট্রের সকল জাতিকে অস্বীকার করে জোর করে একটি “কাল্পনিক জাতীয়তা” চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
৩. আবার কখনো সংখ্যালঘুকে সহাবস্থানের সুযোগ দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ট জাতির ইচ্ছায়ই রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে, ইত্যাদি।
প্রতিটি জাত-নির্ভর রাষ্ট্রই সংখ্যাগরিষ্ট বা আরোপিত “কাল্পনিক” জাতীয়তাকে নাগরিকত্বের পরিচয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বাংলাদেশের বাহাত্তরের সংবিধানকে আমার কাছে তৃতীয় পথ, আর পনের আগস্ট পরবর্তী সাতাত্তরের অধ্যাদেশকে দ্বিতীয় ধারার প্রচেষ্টা মনে হয়েছে। তবে, প্রথম ধারাটির পুনঃপুনঃ ব্যবহারও কম হয়নি।
এর কোনটিই সকল জাতির স্বকীয়তা ও স্বার্থ সংরক্ষণে কার্যকর হয়নি। আমাদের নিজস্ব স্বাধীনতাই সাক্ষী যে, পারস্পরিক স্বীকৃতি না দিয়ে জাতিসত্ত্বার অস্বীকার কখনো একতা নিশ্চিত করে না। তাই, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের পৃথক জাতিস্বত্বাগুলিকে আইনি নাগরিকত্বের থেকে আলাদা করে দেখার প্রচলন শুরু হয়েছে। স্কটিশদের জাতীয়তা মেনে নিয়েই ক্ষমতাশীল ইংলিশ জাতি ‘ব্রিটিশ নাগরিকত্ব’ মেনে নিয়েছে। স্পেন প্রশাসনিক সুবিধার্থ “স্প্যানিশ”-কে জাতীয়তা ও নাগরিকত্বের সমার্থশব্দ হিসেবে ব্যবহার করলেও, নৃতাত্বিক বা সংস্কৃতিক অর্থে জাতি বলতে স্পেনের অধিবাসী প্রতিটি জাতিকেইআলাদা আলাদা জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে।
আমাদের সামনেও এখন এই সুযোগটি আছে। আপিল বিভাগের রায়ে প্রশাসনিক কারনে নাগরিকত্বের বিষয়টি ছাড়া, জাতীয়তার বিষয়টি জাতিয় সংসদের বিবেচ্য বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এই আলোকে, বর্তমান সংসদের নিকট প্রত্যাশা, তারা যেন সংবিধানের জাতীয়তা সংক্রান্ত পুনঃস্থাপিত ৯নং ধারায় বাংলাদেশের অন্যান্য জাতিসত্ত্বাকেও স্বীকৃতি প্রদান করেন।
হাইকোর্টে বিভাগের রায়ের কপি:
Click to access high-verdict.pdf
আপিল বিভাগের রায়ের কপি:
Click to access app-verdict.pdf